ছেলের হাতে মদ‍্যপ বাবার মৃত‍্যুর ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল‍্য বাঁকুড়ার সোনামুখীতে

21st June 2020 8:41 pm বাঁকুড়া
ছেলের হাতে মদ‍্যপ বাবার মৃত‍্যুর ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল‍্য বাঁকুড়ার সোনামুখীতে


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  ছেলের হাতে বাবা খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরী হলো। মৃতের নাম বিধান ঘোষ (৪০)। ঘটনাটি ঘটেছে  নাগাদ বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী থানার পাঁচাল পঞ্চায়েতের আড়ালকোলা গ্রামে । 
   স্থানীয় সূত্রে খবর, বিধান ঘোষ প্রায়শই  মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে এসে স্ত্রী চায়না ঘোষকে মারধোরের পাশাপাশি সংসারে অশান্তি করতো। এদিনও তিনি তার স্ত্রীকে মারধর করতে গেলে বড় ছেলে সঞ্জীব ঘোষ বাধা দেন। এই ঘটনার মাঝেই তখন সঞ্জীব ঘোষ বটি নিয়ে স্ত্রী ও ছেলেকে মারতে গেলে  তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এই অবস্থায় বটির আঘাতে বিধান ঘোষ এর গলার নলি কেটে   ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার ।

     এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সোনামুখী থানার পুলিশ । পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় । 

পাঁচাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুব্রত মিশ্র বলেন , বিধান ঘোষ সব সময় অত্যধিক মদ্যপ অবস্থায় থাকতেন এবং এর আগেও বহুবার পরিবারে অশান্তি হয়েছে । তবে তিনি দোষীর প্রকৃত শাস্তি চান । 

পুলিশ ছেলে ও স্ত্রীকে আটক করেছে । পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সোনামুখী থানার পুলিশ ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।